.... বেলা বাড়ার চোখ রাঙানো রোদ...
তার দিকে একটা ফিচেল হাসি ছুঁড়ে দিয়ে ঝপ করে মাটি-রঙ জলের ভেতর...
লঞ্চের ধার ছুঁয়ে সাঁতরাতে সাঁতরাতে একহাতে ছোঁ মেরে ধরে নেওয়া দড়িতে বাঁধা পুরোনো টায়ার... হুড়মুড়িয়ে এসে পড়া ঢেউ চোখে মুখে মাখতে মাখতে হু -হু পেরিয়ে যাওয়া অনেকটা জল...
লঞ্চের মাথা থেকে এক নিঃশ্বাসে জলের মধ্যে!
তারপর সবাইকে চমকে দিয়ে আবারও উঠে আসা ...
একটা দুর্দান্ত জিতে যাওয়ার মুহুর্ত...আর ওই যুদ্ধ জয়ের হাসি...
"ওদের মরে যাওয়ার ভয় হয়না!"- ওদের দেখতে দেখতে চঞ্চল হচ্ছিল বেনামী...
জলে ঝাঁপিয়ে পড়ার শব্দ আর মাঝদুপুরে জলের থেকে উঠে আসা একটা আর্দ্র উষ্ণতা... ওদের অসময়ের এই দেখা করার সময়টা জুড়ে আরও -আরও এলোমেলো...
বেনামী জলের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে...
ছোট ছোট ঢেউয়ের কপাল ছুঁয়ে রোদ এসে পড়ছে বেনামীর অযত্নে রাখা চুলে...
লঞ্চের রেলিংয়ে পিঠ রেখে.. বেনামীর দিকে তাকিয়ে বদনাম...
বেনামীর গাঢ় বাদামী চোখের ভেতর এক বিন্দু ঘন কালো আছে... সেটাই খুঁজছে হয়তো...
কিছু মনে পড়ছে?
"কী দেখছিস রে? " - দুষ্টু হাসি বেনামীর চোখের কোনায়....
"তোমায়" -বেনামীকে চমকে দিয়ে গাঢ় হয় বদনামের গলার স্বর....
"এ-ই...."- বেনামী বুঝে নিতে চায়...
খানিকক্ষণের নির্বাক দৃষ্টিবিনিময়....
বদনামের চোখের ভেতরে একটা জমাট কান্না আছে...
বেনামী দেখতে পাচ্ছে সেটা নরম হচ্ছে ক্রমশ...
এই মধ্যদিনের চড়া রোদের নীচে, চোখের জল...
বেমানান ?
-"ওভাবে কথাটা বলিনি, তোমায়".... বেনামীর স্বরে অনেকদিনের না আসা বৃষ্টি...
"জানি" - আর বেশী বলতে পারেনা বদনাম...
সত্যি, বেনামী জানে... ওই সাধারণ শব্দগুলো কেন বদনামকে এতটা আঘাত দিতে পারলো!
সত্যিই ও জানে... 'মরে যাওয়া' কথাটুকু বদনাম কীভাবে সহ্য করে... আজও...
জানে, বদনামের চোখের সামনে কীভাবে চলে আসে সেই ভীষণ শীতের রাত, সেই পোড়া গন্ধ, সেই আগুনের শিখা, সেই অফিস নোটবুকে লেখা সুইসাইড নোট....
জানে, বদনামের সেই দুঃস্বপ্নগুলো... সেই সমস্ত রাতজাগা কান্না... রাগ...
জানে, বদনামের হাতে আঁকা ওর দাদার পোর্ট্রেট, সেই শীতের রাতে কীভাবে ঝলসে গিয়েছিল আগুনে...
জানে, সেই ক্যানভাস... এখনও রাখা বদনামের বিছানার পাশে...
জানে, মরে যাওয়ার ভয় কেন এত মারাত্মকভাবে বদনামের বুকের ভেতর...
কেন এই অস্থিরতা... কান্না...
"তোকে যেদিন প্রথম দেখলাম...সেদিন আবার তুলি ধরতে পারলাম... কিছু আঁকতে পারিনি... সারারাত.. শুধু রঙ দিয়ে গেছিলাম ক্যানভাসে..."
বেনামীর ভীষণ ইচ্ছা করল বদনামের হাতটা চেপে ধরে নিজের দু'হাতের ভেতর...আগলে নেয় এই অস্থিরতা...
পারল না... এই ভীড়ের মধ্যে... শুধু তাকিয়ে রইল ওই কান্নার ভেতরে...
.... জলের ভেতর ঝাঁপিয়ে পড়ল আরেকটি কিশোর... ছিটকে আসা জল ভিজিয়ে দিলো ওদের দু'জনকেই...
আধভেজা ব্যাগের থেকে ও বার করল একটা ভাঁজ করে রাখা কাগজ...
বদনামের বুক পকেটে রাখতে রাখতে ও বলল- "তিনি লিখেছেন... স্কেচ না শুধু রঙের কথা..."
বদনামের মুখে তখন....সেই হাসিটা...
বেনামী সেই হাসিটা দেখতে দেখতে ভাবতে থাকে - স্বপ্ন প্রেমের মতো না প্রেম স্বপ্নের মতো...
ওদের অজান্তে... কখন যেন আঙুলে আঙুল ঠেকে গেছে....
তার দিকে একটা ফিচেল হাসি ছুঁড়ে দিয়ে ঝপ করে মাটি-রঙ জলের ভেতর...
লঞ্চের ধার ছুঁয়ে সাঁতরাতে সাঁতরাতে একহাতে ছোঁ মেরে ধরে নেওয়া দড়িতে বাঁধা পুরোনো টায়ার... হুড়মুড়িয়ে এসে পড়া ঢেউ চোখে মুখে মাখতে মাখতে হু -হু পেরিয়ে যাওয়া অনেকটা জল...
লঞ্চের মাথা থেকে এক নিঃশ্বাসে জলের মধ্যে!
তারপর সবাইকে চমকে দিয়ে আবারও উঠে আসা ...
একটা দুর্দান্ত জিতে যাওয়ার মুহুর্ত...আর ওই যুদ্ধ জয়ের হাসি...
"ওদের মরে যাওয়ার ভয় হয়না!"- ওদের দেখতে দেখতে চঞ্চল হচ্ছিল বেনামী...
জলে ঝাঁপিয়ে পড়ার শব্দ আর মাঝদুপুরে জলের থেকে উঠে আসা একটা আর্দ্র উষ্ণতা... ওদের অসময়ের এই দেখা করার সময়টা জুড়ে আরও -আরও এলোমেলো...
বেনামী জলের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে...
ছোট ছোট ঢেউয়ের কপাল ছুঁয়ে রোদ এসে পড়ছে বেনামীর অযত্নে রাখা চুলে...
লঞ্চের রেলিংয়ে পিঠ রেখে.. বেনামীর দিকে তাকিয়ে বদনাম...
বেনামীর গাঢ় বাদামী চোখের ভেতর এক বিন্দু ঘন কালো আছে... সেটাই খুঁজছে হয়তো...
কিছু মনে পড়ছে?
"কী দেখছিস রে? " - দুষ্টু হাসি বেনামীর চোখের কোনায়....
"তোমায়" -বেনামীকে চমকে দিয়ে গাঢ় হয় বদনামের গলার স্বর....
"এ-ই...."- বেনামী বুঝে নিতে চায়...
খানিকক্ষণের নির্বাক দৃষ্টিবিনিময়....
বদনামের চোখের ভেতরে একটা জমাট কান্না আছে...
বেনামী দেখতে পাচ্ছে সেটা নরম হচ্ছে ক্রমশ...
এই মধ্যদিনের চড়া রোদের নীচে, চোখের জল...
বেমানান ?
-"ওভাবে কথাটা বলিনি, তোমায়".... বেনামীর স্বরে অনেকদিনের না আসা বৃষ্টি...
"জানি" - আর বেশী বলতে পারেনা বদনাম...
সত্যি, বেনামী জানে... ওই সাধারণ শব্দগুলো কেন বদনামকে এতটা আঘাত দিতে পারলো!
সত্যিই ও জানে... 'মরে যাওয়া' কথাটুকু বদনাম কীভাবে সহ্য করে... আজও...
জানে, বদনামের চোখের সামনে কীভাবে চলে আসে সেই ভীষণ শীতের রাত, সেই পোড়া গন্ধ, সেই আগুনের শিখা, সেই অফিস নোটবুকে লেখা সুইসাইড নোট....
জানে, বদনামের সেই দুঃস্বপ্নগুলো... সেই সমস্ত রাতজাগা কান্না... রাগ...
জানে, বদনামের হাতে আঁকা ওর দাদার পোর্ট্রেট, সেই শীতের রাতে কীভাবে ঝলসে গিয়েছিল আগুনে...
জানে, সেই ক্যানভাস... এখনও রাখা বদনামের বিছানার পাশে...
জানে, মরে যাওয়ার ভয় কেন এত মারাত্মকভাবে বদনামের বুকের ভেতর...
কেন এই অস্থিরতা... কান্না...
"তোকে যেদিন প্রথম দেখলাম...সেদিন আবার তুলি ধরতে পারলাম... কিছু আঁকতে পারিনি... সারারাত.. শুধু রঙ দিয়ে গেছিলাম ক্যানভাসে..."
বেনামীর ভীষণ ইচ্ছা করল বদনামের হাতটা চেপে ধরে নিজের দু'হাতের ভেতর...আগলে নেয় এই অস্থিরতা...
পারল না... এই ভীড়ের মধ্যে... শুধু তাকিয়ে রইল ওই কান্নার ভেতরে...
.... জলের ভেতর ঝাঁপিয়ে পড়ল আরেকটি কিশোর... ছিটকে আসা জল ভিজিয়ে দিলো ওদের দু'জনকেই...
আধভেজা ব্যাগের থেকে ও বার করল একটা ভাঁজ করে রাখা কাগজ...
বদনামের বুক পকেটে রাখতে রাখতে ও বলল- "তিনি লিখেছেন... স্কেচ না শুধু রঙের কথা..."
বদনামের মুখে তখন....সেই হাসিটা...
বেনামী সেই হাসিটা দেখতে দেখতে ভাবতে থাকে - স্বপ্ন প্রেমের মতো না প্রেম স্বপ্নের মতো...
ওদের অজান্তে... কখন যেন আঙুলে আঙুল ঠেকে গেছে....