আকাশ নরম হয়ে আসে... দুপুরের চড়া রোদ হাইরাইজের মাথার ওপর থেকে নেমে আড়ালে যায়...তারপর গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে... খেলার মাঠে... চা-দোকানের বেঞ্চে থিতিয়ে পড়তে পড়তে...
মিশে যায় স্কুলফেরত আলুকাবলির শালপাতায়-গঙ্গার ঢেউয়ে আলতো কাঁপতে থাকা শেষবেলার আলোয়...
নরম নীল ব্যাকড্রপে... হালকা গোলাপী...
কখনও উজ্জ্বল সাদা আর দিগন্তছোঁয়া একটা শীতল কমলা সূর্য...
আবার কখনও... গাঢ় কমলা আকাশ আর রক্তলালে গাঢ়তর...
...বিকেল...
সমস্ত দিনটার... ভীষণ থেকে নরম হওয়ার সময়... আবারও সন্ধ্যের মতো কঠিন আর নির্বাক হওয়ার আগে অনর্গল কথোপকথনের মতো সময়....
এ'রকমই একটা বিকেলের ভেতর ওরা পাশাপাশি শুয়ে আছে...
ছাদটার ওপর ঝুঁকে পড়েছে বিকেল-মাখা আকাশ... বাঁ-পাশে ফুল-লাল কৃষ্ণচূড়ার অর্ধেকটুকু দেখা যায়...আর
ওদিকে তিনটে সুপুরি গাছ, হালকা হাওয়ায় এদিক ওদিক; পিছন দিকে দু'-তিনটে বাড়ি খানিক দূরে - বাড়ি না ফ্ল্যাট... ভাগাভাগির ছাদে লোক দেখা যায়না সচরাচর...শুধু আলাদা আলাদা দড়িতে শুকোতে দেওয়া আলাদা আলাদা তলার কাপড়জামা...
এভাবে পাশাপাশি অনেকক্ষণ আকাশ দেখছে ওরা...
এদিকওদিক দু'-চারটে ঘুড়ি উড়ছে...
বেনামীর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে - বিশ্বকর্মা পুজোর সপ্তাহে বাবা ঘুড়ি ওড়াতো খুব...লাটাই হাতে বাবার দিকে তাকিয়ে ও দেখত ছোট ছেলের মতো হাসছে বাবা.... কত অন্যরকম হয়ে যেতো বাবা তখন...
বদনাম তখন আঙুল দিয়ে বেনামীর হাতের পাতায় আাঁকিবুকি কাটতে কাটতে অগোছালো ভাবনা গুলোকে সাজানোর চেষ্টায়...
"অনেকবার চেষ্টা করলাম, পারছিনা কেন রে?"
বেনামী পাশ ফিরে বদনামের দিকে তাকায়....
"আমিও পারিনি..." বেনামী আবার আকাশের দিকে ফেরে...
"ছটা পেপার জাস্ট নষ্ট করলাম"- বদনাম অধৈর্য...
"আগুন আঁকা যাবে? কান্না... রক্তপাত.. আঁকতে পারবি? "
-বদনামের চোখে চোখ রাখে বেনামী...
-বদনাম তাকিয়ে থাকে নিষ্পলক...
বেনামীর ঠোঁটটা কাঁপছে...
ওর কাঁধটা চেপে ধরে বদনাম বলে -"কাঁদবি না"...
ভীষণ রাগে এভাবেই কেঁদে ফেলে বেনামী...
- সেই রাতটা মনে পড়ে ওর... ইচ্ছে করে তৈরী করা লোডশেডিং, মাঝারাতে আচমকা ঘরে ঢুকে পড়া কতগুলো লোক... মারধর আর চিৎকার, মায়ের কোলের ভেতর আরও লুকোতে থাকা ও নিজে আর সকাল হতেই দেখতে পাওয়া দেওয়ালে রক্তের ছোপ আর লন্ডভন্ড ভাড়াবাড়ির ঘর...
রঙ-লাগা দু'হাতে বদনাম, বেনামীকে জড়িয়ে নেয়...
ছুঁয়ে দেয় কাঁপতে থাকা বুক... কাঁপতে থাকা ঠোঁট...
ওই দু'হাতের ভেতর বেনামী শান্ত হয়ে আসে...
বদনামের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না, আলতো হাসে...
সেই দেখতে -চাওয়া হাসিটা আরেকবার ছুঁয়ে নেয় বদনাম....
ও পারবে... পারবেই...
আগুন... ওকে আঁকতেই হবে....
সামনের আকাশের সদ্যবিকেলের সেই নরম আলো....
উজ্জ্বল.... আরও উজ্জ্বল হলুদ... তারপর গাঢ় লাল মিশতে মিশতে এলোমেলো...
নিবিড় হতে হতে.... খসে যাচ্ছে সব নীরবতা...
না-পারাগুলোর ভেতরেও এত শক্তি থাকে!
বেনামী .. তখনও বদনামের দিকে তাকিয়ে....
ওরা ভাবছে... মৃত্যুগুলোকে হারিয়ে দেওয়াটা জয়, না জয়... বেঁচে থাকা....
মিশে যায় স্কুলফেরত আলুকাবলির শালপাতায়-গঙ্গার ঢেউয়ে আলতো কাঁপতে থাকা শেষবেলার আলোয়...
নরম নীল ব্যাকড্রপে... হালকা গোলাপী...
কখনও উজ্জ্বল সাদা আর দিগন্তছোঁয়া একটা শীতল কমলা সূর্য...
আবার কখনও... গাঢ় কমলা আকাশ আর রক্তলালে গাঢ়তর...
...বিকেল...
সমস্ত দিনটার... ভীষণ থেকে নরম হওয়ার সময়... আবারও সন্ধ্যের মতো কঠিন আর নির্বাক হওয়ার আগে অনর্গল কথোপকথনের মতো সময়....
এ'রকমই একটা বিকেলের ভেতর ওরা পাশাপাশি শুয়ে আছে...
ছাদটার ওপর ঝুঁকে পড়েছে বিকেল-মাখা আকাশ... বাঁ-পাশে ফুল-লাল কৃষ্ণচূড়ার অর্ধেকটুকু দেখা যায়...আর
ওদিকে তিনটে সুপুরি গাছ, হালকা হাওয়ায় এদিক ওদিক; পিছন দিকে দু'-তিনটে বাড়ি খানিক দূরে - বাড়ি না ফ্ল্যাট... ভাগাভাগির ছাদে লোক দেখা যায়না সচরাচর...শুধু আলাদা আলাদা দড়িতে শুকোতে দেওয়া আলাদা আলাদা তলার কাপড়জামা...
এভাবে পাশাপাশি অনেকক্ষণ আকাশ দেখছে ওরা...
এদিকওদিক দু'-চারটে ঘুড়ি উড়ছে...
বেনামীর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে - বিশ্বকর্মা পুজোর সপ্তাহে বাবা ঘুড়ি ওড়াতো খুব...লাটাই হাতে বাবার দিকে তাকিয়ে ও দেখত ছোট ছেলের মতো হাসছে বাবা.... কত অন্যরকম হয়ে যেতো বাবা তখন...
বদনাম তখন আঙুল দিয়ে বেনামীর হাতের পাতায় আাঁকিবুকি কাটতে কাটতে অগোছালো ভাবনা গুলোকে সাজানোর চেষ্টায়...
"অনেকবার চেষ্টা করলাম, পারছিনা কেন রে?"
বেনামী পাশ ফিরে বদনামের দিকে তাকায়....
"আমিও পারিনি..." বেনামী আবার আকাশের দিকে ফেরে...
"ছটা পেপার জাস্ট নষ্ট করলাম"- বদনাম অধৈর্য...
"আগুন আঁকা যাবে? কান্না... রক্তপাত.. আঁকতে পারবি? "
-বদনামের চোখে চোখ রাখে বেনামী...
-বদনাম তাকিয়ে থাকে নিষ্পলক...
বেনামীর ঠোঁটটা কাঁপছে...
ওর কাঁধটা চেপে ধরে বদনাম বলে -"কাঁদবি না"...
ভীষণ রাগে এভাবেই কেঁদে ফেলে বেনামী...
- সেই রাতটা মনে পড়ে ওর... ইচ্ছে করে তৈরী করা লোডশেডিং, মাঝারাতে আচমকা ঘরে ঢুকে পড়া কতগুলো লোক... মারধর আর চিৎকার, মায়ের কোলের ভেতর আরও লুকোতে থাকা ও নিজে আর সকাল হতেই দেখতে পাওয়া দেওয়ালে রক্তের ছোপ আর লন্ডভন্ড ভাড়াবাড়ির ঘর...
রঙ-লাগা দু'হাতে বদনাম, বেনামীকে জড়িয়ে নেয়...
ছুঁয়ে দেয় কাঁপতে থাকা বুক... কাঁপতে থাকা ঠোঁট...
ওই দু'হাতের ভেতর বেনামী শান্ত হয়ে আসে...
বদনামের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না, আলতো হাসে...
সেই দেখতে -চাওয়া হাসিটা আরেকবার ছুঁয়ে নেয় বদনাম....
ও পারবে... পারবেই...
আগুন... ওকে আঁকতেই হবে....
সামনের আকাশের সদ্যবিকেলের সেই নরম আলো....
উজ্জ্বল.... আরও উজ্জ্বল হলুদ... তারপর গাঢ় লাল মিশতে মিশতে এলোমেলো...
নিবিড় হতে হতে.... খসে যাচ্ছে সব নীরবতা...
না-পারাগুলোর ভেতরেও এত শক্তি থাকে!
বেনামী .. তখনও বদনামের দিকে তাকিয়ে....
ওরা ভাবছে... মৃত্যুগুলোকে হারিয়ে দেওয়াটা জয়, না জয়... বেঁচে থাকা....
No comments:
Post a Comment